খুশকি? শ্যাম্পুর পর এই ১ কাজ করলেই মিলবে ম্যাজিকাল রেজাল্ট!
চুল আঁচড়াতে গিয়ে আচমকা দেখা গেল চুলের গোড়ায় সাদা সাদা খুশকি! মনে মনে ভয়টা হয়তো আগেই ছিল। খুশকি একবার শুরু হলে যে সেটা ধীরে ধীরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়বে তা তো জানা কথাই। এর ফল? সারাক্ষণ মাথায় চুলকানি
চুল পড়ে যাওয়া, মাথার ত্বকে লালচে ভাব, এমনকি ব্রণ পর্যন্ত অতিরিক্ত হলে হতে পারে ফাঙ্গাল ইনফেকশনও হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই, ঘরেই বানিয়ে নিন কিছু প্রাকৃতিক হেয়ার রিন্স যা শ্যাম্পুর পরে ব্যবহার করলে খুশকি কমতে সাহায্য করবে।
১. অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার রিন্স
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা খুশকির মূল কারণ ফাঙ্গাসকে নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি, মাথার ত্বকের pH ব্যালান্স ঠিক রাখে।
উপকরণ
- ২ টেবিল চামচ ACV
- ৬ টেবিল চামচ জল
ব্যবহার পদ্ধতি
শ্যাম্পুর পরে, কিন্তু কন্ডিশনার দেওয়ার আগে মিশ্রণটি চুল ও স্ক্যাল্পে ঢেলে দিন।
আঙুলের ডগা দিয়ে ২–৩ মিনিট হালকা ম্যাসাজ করুন।
২ মিনিট রেখে সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে ১–২ বার ব্যবহার করুন।
২. লেবুর খোসা ভেজানো জল
লেবুর খোসার অ্যাসিড চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলে আনে দারুণ উজ্জ্বলতা।
উপকরণ
- ৪–৫ টি লেবুর খোসা
- ৪–৫ কাপ জল
ব্যবহার পদ্ধতি
লেবুর খোসা জলে দিয়ে ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
জল ঠান্ডা হলে শ্যাম্পুর পরে তা দিয়ে চুল ও স্ক্যাল্প ধুয়ে নিন।
১০–১৫ মিনিট রেখে দিন।
শেষে সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই চমৎকার ফল পাওয়া যায়।
৩. নিম পাতার জল
নিম হল সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। এটি মাথার ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং খুশকির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে।
উপকরণ:
২ মুঠো নিম পাতা
৪–৫ কাপ জল
ব্যবহার পদ্ধতি
দুটি পদ্ধতি:
✔ রাতে ভিজিয়ে: পাতা সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিন।
✔ দ্রুত উপায়: পানি ফুটিয়ে তাতে নিম পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে ঠান্ডা করুন।
তারপর শ্যাম্পু করার পর এই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এর পরে আর আলাদা করে জল দিয়ে ধোয়ার প্রয়োজন নেই। খুশকি বেশি হলে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন।
শেষ কথা:
খুশকি এমন নয় যা রাতারাতি পুরোপুরি চলে যায়। তবে নিয়মিত সঠিক কেয়ার ও এই তিনটি হেয়ার রিন্স ব্যবহার করলে মাথার ত্বক হবে পরিষ্কার, খুশকি কমবে এবং চুলও হবে আরও স্বাস্থ্যকর। সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
