মা কালীকে ভয় পাও? এই সত্য জানলে কেঁপে উঠবে তোমার মন!
অনেকে এখনো মা কালীকে দেখে ভয় পায়। তাঁর গলায় ঝুলছে খুলি, হাতে খড়গ, মুখে জিভ বার করা এমন রূপ দেখে মনে হয় যেন রুদ্র মূর্তি!
কিন্তু এই ভয়ংকর রূপের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক অসীম মমতা, ভালোবাসা ও রক্ষার শক্তি যা বুঝলে তোমার মন কেঁপে উঠবে ভক্তিতে, ভয় নয়।
কেন মা কালী এত ভয়ংকর রূপে?
যখন অসুররা অন্যায়, লোভ আর অন্ধকার ছড়িয়ে দেয় পৃথিবীতে, তখন মা কালী রুদ্ররূপে প্রকাশ পেয়ে অন্যায়ের বিনাশ করেন।
তাঁর খড়গ মানে ধ্বংস নয়, বরং অহংকারের মৃত্যু। তাঁর জিভ বার করা মানে নিজের অহংকারকে চিহ্নিত করা, কারণ শক্তি কখনো অহংকারের নয়, বিনয়ের।
ভয় নয়, মা কালী ভালোবাসার প্রতীক
যারা মা কালীর ভক্ত, তারা জানে তিনি শুধু ধ্বংসের দেবী নন, তিনি মা!
যেভাবে মা সন্তানের ভুল বুঝে ক্ষমা করে দেন, ঠিক তেমনই মা কালীও আমাদের ভয়ংকর রূপে শেখান “অন্ধকারের পরেই আলো।”
তুমি যদি তাঁকে ভয় পাও, তবে এখনও তাঁকে বোঝোনি। তিনি ভয় দেখিয়ে নয়, ভক্তিকে জাগিয়ে তোলেন।
মা কালীর আসল বার্তা কী?
১️. অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াও।
২️. নিজের ভেতরের অন্ধকারকে জ্বালিয়ে দাও।
৩️. সময়কে শ্রদ্ধা করো কারণ মা কালী সময়েরই রূপ।
৪️. ভয় নয়, ভক্তি রাখো।
- মা কালী তোমাকে ভয় দেখাতে নয়, তোমাকে শক্তিশালী করতে এসেছেন।
- মা কালী মানে জীবন ও মৃত্যুর সীমানা পেরিয়ে মুক্তি
- তিনি শেখান, মৃত্যু কোনো শেষ নয়, বরং এক নতুন শুরু।
- তাঁর পায়ের নিচে শায়িত শিব মানে শক্তি ও চেতনার একতা।
যে বুঝতে পারে এই গভীর সত্য, তার আর কোনো ভয় থাকে না কারণ সে বুঝে যায়, মা কালী মানে মুক্তি, মা কালী মানে চিরজীবন।
শেষ কথা:
মা কালীকে ভয় পেও না। তাঁর খড়গ তোমাকে মারবে না, বরং তোমার ভেতরের অন্ধকারকে কেটে দেবে। তাঁর জিভ তোমাকে ভীত করবে না, বরং তোমাকে জাগাবে। আর তাঁর হাসি সে তো এক মাতৃস্নেহের হাসি, যে সন্তানের চোখের জল মুছে দেয় অন্ধকার রাতের মতো নিঃশব্দে।
তুমি যদি সত্যিই মা কালীকে বোঝো, তবে ভয় নয় চোখে ভরে উঠবে শ্রদ্ধা, আর হৃদয়ে জ্বলে উঠবে এক অনির্বচনীয় আলো।
